ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪

হলে সিট বন্টনে অনিয়মের অভিযোগ, ক্ষোভ হাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের 

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২১:৫৯, ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৮

 

দিনাজপুর হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনির্মিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে সিট না পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বিভিন্ন ছাত্র হলের গণরুমে অবস্থানকারী শিক্ষার্থীরা।

গত ১৪ই মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে সিট বরাদ্দ দেওয়া হবে এই মর্মে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭ ও তৎপূর্বে শিক্ষাবর্ষে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত সময় বেঁধে দরখাস্ত আহবান করা হয়। অতপর দীর্ঘ ৫ মাস পরে ৫ সেপ্টেম্বর শিক্ষার্থীদের হলে উঠানোর ঘোষণা দিয়ে ৪ সেপ্টেম্বর হলে সিট প্রাপ্যদের একটা তালিকা প্রকাশ করে। সেই তালিকায় ১৭ তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা প্রাধান্য পেলেও ১৩,১৪,১৫ তম ব্যাচ ও গণরুমের শিক্ষার্থীদের প্রাধান্য দেওয়া হয়নি। এনিয়ে কয়েকজন ছাত্র সিট বানিজ্য ও সিট বন্টনে অনিয়মের অভিযোগ এনে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।    

আল আমিন ইসলাম নামের এক শিক্ষার্থী ফেসবুকে লিখেন, দুই বছর হলের গণরুমের বসবাস অযোগ্য জায়গায় পড়ে থাকার পিছনে একটাই আশা একটি রুম পাবো। তারপর হলে সিট পেয়ে অন্তত বাকি দিনগুলো ভালো কাটবে, পড়াশুনা ভালোভাবে করা যাবে। নতুন হল খোলা হলো, সিট বন্টনের তালিকা দেওয়া হলো সেখানে ফাস্ট ইয়ার,সেকেন্ড ইয়ার,মেসের ছেলেরা তালিকায় আসলো। অথচ দুই বছর ধরে, গণরুমে মানবেতর জীবন কাটানো ছেলেরা প্রশাসনের নজরে আসলো না। তাদের নাম তালিকায় আসলো না। সাবাস প্রশাসন,সাবাস হাবিপ্রবি।

রাফিয়া সুলতানা নামের এক ফেসবুক আইডি থেকে সিট বানিজ্য নিয়ে লিখেছেন,  যারাই করে নোংরামি তারাই করে প্রতিবাদ। 

সিট নিয়ে বাণিজ্যের ব্যাপারে রিয়াদ নামের এক ছাত্র নেতা লিখেছেন, টাকা নিয়ে হলে সিট দেওয়ার কিছু খোঁজ খবর পাওয়া গেছে ইতোমধ্যে। যে সকল নামধারী নেতা,পাতি নেতা হলে উঠানোর জন্য টাকা নিয়ে ধান্দাবাজি করছেন। কোন প্রকার সংকোচ না করে নির্ভয়ে আপনারা তাদের প্রতিহত করুন। কেউ ছাত্রলীগের নাম ব্যবহার করে এমন অসততার কাজ করলে তার দায়ভার সংগঠন নিবে না, প্রয়োজনে তাদের নামসহ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অভিহিত করুন। আমরা বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সবসময় সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের পক্ষে ছিলাম,আছি, থাকব।     

এই ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দায়িত্বে থাকা এক ব্যাক্তি জানান, ওদের (ছাত্রলীগের) দুই গ্রুপকেই সমানভাবে সিট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে (৪২০ এর মধ্যে ১৫০ করে ৩০০)। গণরুম ও ছাত্ররাজনীতির সাথে জড়িত ছাত্রদের নামের তালিকা আমাদের না দিয়ে থাকলে সেটার জন্য কেন প্রশাসনকে দায়ী থাকবে? তাঁরা যে তালিকা দিয়েছে সেগুলোই আমরা দেওয়ার চেষ্ট করেছি।    

কেআই/এসি  

 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি